চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ শফিক রেহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রায় ঘোষণার পর এই ৫ আসামি পলাতক থাকায় বিচারক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি আব্দুর রহমান খান কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা রায় ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ১২০(বি) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত (২০১৫ সালের ৩ আগস্ট) জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের যোগসাজশে একত্র হয়ে জয়কে আমেরিকায় হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। অর্থায়ন ও পরামর্শদাতা হিসেবে অভিযোগ আনা হয় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তথ্যসূত্র: চ্যানেল২৪