আজ ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নতুন সুযোগ


ঢাকা (২৯ অক্টোবর): বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩য় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল অন্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও একই সুযোগ প্রদান করার লক্ষ্যে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ এবং তা বাংলাদেশকে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তাদের কাছ থেকে ‘রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ বিষয়ে পত্র পাওয়া গেছে। আগামীতে এসব অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট ঠিক করা হবে বলেও জানা গেছে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় আগে অন্য দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিকে বেশি সুযোগ দেয়া হতো। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য কর্মী প্রেরণকারী দেশের সাথে সামঞ্জস্য ও সমতা রক্ষা করে বাংলাদেশি বৈধ লাইসেন্সধারী সকল রিক্রুটিং এজেন্টকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে বারবার তাগিদ দেয়ার প্রেক্ষিতে এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ডগুলো হলো-লাইসেন্স প্রাপ্তির পর ন্যূনতম
৫ বছর সন্তোষজনক কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিগত ৫ বছরে বিদেশে ন্যূনপক্ষে ৩ হাজার কর্মী প্রেরণের প্রমাণক থাকতে হবে এবং অন্তত ৩টি ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্য দেশে কর্মী প্রেরণ ও কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন, নিয়োগ এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। কর্মী প্রেরণকারী দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে। এছাড়া, এজেন্সির বিরুদ্ধে জবরদস্তিমূলকভাবে শ্রমে নিয়োগ, মানবপাচার, শ্রম আইন লঙ্ঘন, জোরপূর্বক অর্থ আদায় (extortion), অর্থপাচার বা অন্য কোনো আর্থিক অপরাধ এবং অনৈতিক অভিবাসন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না। সামগ্রিক সুবিধাদিসহ রিক্রুটিং এজেন্সির নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ দিকনির্দেশনা মডিউল (Induction module) থাকতে হবে। এজেন্সির অনুকূলে পৃথক পৃথক পাঁচ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তা প্রদত্ত সন্তোষজনকভাবে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পাদানের প্রশংসাপত্র থাকতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির অবশ্যই কমপক্ষে ৩ বছর যাবৎ পরিচালিত ন্যূনপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট একটি স্থায়ী অফিস থাকবে। যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার মতো অবকাঠামোগত সুবিধা থাকতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির অবশ্যই ইতোপূর্বে বিদেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশের (মালয়েশিয়াসহ) নিয়োগ প্রক্রিয়ার শর্তাবলি আইনসম্মত ও পদ্ধতিগতভাবে অনুসরণ করার প্রমাণক থাকতে হবে।

‘নির্ধারিত সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশের বৈধ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্টসমূহকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপরোল্লিখিত কাগজপত্রসহ আবেদন দাখিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। PID

বাংলাদেশের খবর/ প্রবাস ডেস্ক


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর