জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হলেও, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে অনেকেই নিজেদের সম্ভাবনা বাড়াতে দ্বিতীয় নাগরিকত্ব নিতে চান। অনেক সময় বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি বা ভ্রমণের সূত্রে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তা বিয়েতে রূপ নেয়। আবার কেউ কেউ সরাসরি বিদেশি জীবনসঙ্গী গ্রহণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ খোঁজেন।
বিশ্বে এমন বেশ কিছু দেশ আছে—যেখানে ওই দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে বৈধ উপায়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশগুলো এমন সুবিধা দেয়।
তুরস্কের নাগরিককে বিয়ে করলে স্বামী–স্ত্রী হিসেবে তিন বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা-ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
দক্ষিণ ইউরোপের বৃহৎ দেশ স্পেনে বিয়ের পর মাত্র এক বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। নাগরিকত্ব পেলে লাতিন আমেরিকার বহু দেশের সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে লাগবে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে থাকার প্রমাণ।
আর্জেন্টিনার নাগরিককে বিয়ে করলে দুই বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। বৈধ বিয়ের কাগজপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে দেশটিতে কোনো অপরাধে জড়িত না থাকার প্রমাণ এবং প্রাথমিক স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান।
মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করে দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন বিয়ের সনদ, সহবাসের প্রমাণ এবং মৌলিক স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান।
কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ সুইজারল্যান্ডে বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলক সহজ। সুইস জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তিন বছর বসবাস এবং দেশে মোট পাঁচ বছর থাকার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। দেশে না থেকেও ছয় বছরের বিবাহিত জীবন অতিক্রম করলে এই আবেদন করা সম্ভব। ভাষা, সংস্কৃতি, অপরাধ-রহিত রেকর্ড এবং বৈধ দাম্পত্য জীবনের প্রমাণ আবশ্যক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ডে দেশটির নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করলেই সরাসরি নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
সূত্র: গ্লোবাল সিটিজেন সলিউশনস, নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট
বাংলাদেশের খবর/ চাটগাঁর সংবাদ/ সিটিজি নিউজ