নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে।

বাসস জানিয়েছে, মঙ্গলবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা বলেন কমনওয়েলথ মহাসচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কমনওয়েলথের ‘অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার’ বলে জানান বোচওয়ে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চেষ্টায় সহায়তা করাও এ সংস্থার অগ্রাধিকারভিত্তিক লক্ষ্য।

কমনওয়েলথ যে ২৭০ কোটি মানুষের প্ল্যাটফর্ম, সে কথা তুলে ধরে ঘানার নাগরিক শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে বলেন, বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী কয়েক বছরে তা ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কমনওয়েলথের অনেক সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর মধ্যে অনেক দেশ আকারে অত্যন্ত ছোট, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করার চেষ্টা করব।

কমনওয়েলথ মহাসচিবকে ক্রীড়া খাতে সম্ভাবনার অনুসন্ধান এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি ভালো মাধ্যম।

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি মাসে তারা ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, কমনওয়েলথের ১৫০ কোটি জনগোষ্ঠী তরুণ এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্যও এ সংস্থা কাজ করছে।

কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় আরো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে তুলে ধরেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।