বাঁকখালী নদীতে সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযান: ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, বালুখেকোর কারাদণ্ড


আবদুর রাজ্জাক, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার।। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ও পূর্ব মুক্তার কুলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে জিয়াউল হক জিয়া প্রকাশ জিয়া মৌলভি নামের এক বালুখেকোকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় পাইপসহ ২ টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইনস্টিটিউট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জিয়াউল হক জিয়া প্রকাশ জিয়া মৌলভি। তিনি লিংকরোড মুহুরি পাড়ার গ্রামের বাসিন্দা মৃত হোসেনের ছেলে। বালুখেকো জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। দণ্ড ঘোষণার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০-এর ১৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে একজনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা বলেন, ‘বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পূর্বমুক্তারকুল ও বাংলাবাজার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নির্দেশে অভিযান চালানো হয়। এসময় পূর্ব মুক্তারকুল এলাকায় বালুখেকোরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে পাওয়া না গেলেও পাইপসহ ১টি ড্রেজার ধ্বংস করে বালুগুলো স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরে বাংলাবাজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে ১০ দিনের করে জেল দিয়েছি। পাশাপাশি ১ টি ড্রেজার মেশিন পাইপসহ ধ্বংস করেছি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাবাজার আইডিয়াল স্কুলের  দক্ষিণ পাশে বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এছাড়াও ঝিলংজার পূর্ব মুক্তারকুলের বিশাল এলাকাজুড়ে হাজার হাজার ঘনফুট বালু মজুদ রয়েছে। রাতের বেলায় ওই মজুদ থেকে স্থানীয় বালুখেকো সিন্ডিকেট ডাম্পারযোগে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।স্থানীয়দের অভিযোগ, কখনো কখনো দিনের আলোয় এ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্রেজার মেশিন সক্রিয় হতে থাকে। রাতে ড্রেজারের শব্দে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে আশেপাশে বসবাস করা মানুষগুলোর। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধসহ নদীর তীর ও তীরবর্তী ফসলি জমি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এভাবেই গত কয়েক বছর চলতে থাকলেও ওইসব ‘দুর্ধর্ষ’ বালুখেকো দস্যুদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করা সাহস পায় না। এদিকে জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা।


Related posts

সেনবাগ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

Md Maruf

চন্দনাইশে আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের

Mohammad Mustafa Kamal Nejami

চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: রাম্পে আটকা প্রকল্পের সুফল

Mohammad Mustafa Kamal Nejami

Leave a Comment