আব্দুল কাদের চৌধুরী: ফটিকছড়ির দাঁতমারায় মঙ্গলবার রাতে দাওয়াত খেতে গিয়ে ফেরেনি ব্যবসায়ী হাঁছি মিয়া (৬৫)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফটিকছড়ির ভুজপুর থানাধীন দাঁতামারা ইউপির ৮নং ওয়ার্ডস্থ বালুখালী এলাকার জনৈক মিয়া বাড়ীর সামনের রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত হাঁছি মিয়ার বাড়ী একই ইউনিয়নের নিচিন্তা গ্রামের মৃত নজীর আহমদের ছেলে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে তার গ্রামের প্রতিবেশী চাচাত বোন স্বামী পরিত্যক্ত্যা জাহেদা বেগমের পশ্চিম বালুখালীস্থ বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি রাত্রি যাপন করেন বলে জাহেদা বেগমও জানান।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি নিজ বাড়ীতে যাবার জন্য বের হন। এরপর চাচাতো বোন জাহেদার বাড়ী থেকে আনুমানিক সাত শ' ফুট দুরে অবস্থিত জনৈক মোঃ মিয়ার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। অতপর দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও ভুজপুর থানার ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ সময় তার প্যান্টের পকেটে ২১৩০ টাকা পাওয়া যায়। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তার ছোট ছেলে সজিব জানায়, রাত ৯টা নাগাদ নিজের দোকান বন্ধ করে তার পিতা হাঁছি মিয়া একটি দাওয়াতে যাবে বলে বের হয়। রাত ১টা নাগাদ তার ভাবী ফোন করলে হাঁছি মিয়া রাতে বাড়ী যাবে না বলে তাদেরকে ঘুমিয়ে যেতে বলে। তবে তিনি কোথায় কার বাড়ীতে দাওয়াতে গেছেন- সে বিষয়ে কিছু জানতো না তারা। সজিব জানায়, তার পিতা আগ থেকে ডায়বেটিসহ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিল।
তবে গোপন সুত্র জানায়, হাঁছি মিয়ার সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক দুরত্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্যান্ডেল ও টর্সলাইট উদ্ধার করা হয়েছে।
ভুজপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাঁছি মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তখন সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।