নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) প্রতারিত হয়ে টাকা হারিয়েছেন চন্দনাইশের সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল। তিনি গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ প্রতারণার শিকার হন।
জানা যায়, ১৭ আগস্ট রোববার অনুমানিক সাড়ে ৪টায় তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মাহফুজ এর ফেসবুক আইডি থেকে এসএমএস দিয়ে তাঁকে জানায় যে, তিনি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসতেছেন। সার্ভার সমস্যার কারণে আবদুল মাহফুজের প্রেরিত টাকা ট্রাভেল এজেন্সির কাছে পৌঁছেনি। ফলে তিনি দুবাইতে আটকে পড়েছেন। ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কনটাক্টও করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের একটি (রয়েল এয়ার ট্রাভেল এজেন্সির) মোবাইলফোন নাম্বার দেন এবং তাদের সাথে কথা বলতে বলেন। পরে এজেন্সির কাছে টাকা দিতে বলেন।
এবিষয়ে জানার জন্য সাংবাদিক কফিল আবদুল মাহফুজের কয়েকজন আত্মীয়ের কাছে মোবাইলফোনে কল দেন। তাৎক্ষণিক ফোন রিসিভ না করায় তিনি মনে করেছেন তাঁরা হয়তো মাহফুজ সাহেবের ফোনও তাঁরা রিসিভ করেননি, তাই এ সমস্যা। একজন সিনিয়র সিটিজেনের সম্মানের কথা ভেবে কথিত এজেন্সির চাহিদা অনুযায়ী ১৯,৪০০ (উনিশ হাজার চারশত) টাকা বিকাশে পাঠান। আবদুল মাহফুজের আত্মীয় ফোন ব্যাক করার পর প্রতারণার বিষয়টা স্পষ্ট হয়।
প্রতারক চক্র একইভাবে আবদুল মাহফুজের আরো কয়েকজন পরিচিত লোকের সাথে যোগাযোগ করে প্রতারণার চেষ্টা করে, যদিও এরপর আর কেউ টাকা পাঠাননি। সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডি নম্বর- ৭৬১, তারিখ- ১৭/৮/২০২৫ খ্রি.
ইদানীং, বিশিষ্টজনদের ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে ও মোবাইলফোন ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। সহজ, সরল ও সাধারণ লোকজন প্রতারণার শিকার হয়ে টাকা হারাচ্ছেন।
এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন মহল।