ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া: পটিয়া উপজেলার প্রধান সড়কের পাশে পটিয়া সরকারি হাসপাতাল।হাসপাতালের বেডে রোগীর সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের করিডোরে রোগীর অবস্থান। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন রোগের রোগী।হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে লিখা থাকে সাবধান হর্ণ বাজাবেন না।যেহেতু রোগীরা শারীরিক কস্ট পাবে। এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে হাসপাতাল প্রাজ্ঞণে রাতভর বিয়ের বাদ্যবাজানা বাজিয়ে ভোরবেলায় শেষ হয় বিয়ের আসর।
শিমলা চক্রবর্তী পটিয়া হাসপাতালে সিনিয়র নার্স।সরকারি কোয়ার্টার থাকেন।সে সুবাদে গত১৩ মে নিজ ভাই সুমন চক্রবর্তী(বর) ও শুক্লা চক্রবর্তী(কনে)র বিয়ের কাজ সেরে ফেলেন নিজ কোয়ার্টারে।সুমন ও বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন।বাড়ি কদুরখীল গ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। সাদা কাপড় দিয়ে পুরা হাসপাতাল ঘিরে ফেলা হয়।রং বেরঙের লাইটিং এর আলোকসজ্জা বাদ্যবাজানার বিকট শব্দে মনে হয় হাসপাতাল নয় যেন বিয়ের কমিউনিটি সেন্টার।
দুর থেকে আসা রোগী সালমা খাতুন বলেন আর পারছি না,ইচ্ছে হয় এখনি হাসপাতাল ত্যাগ করি।ভাটিখাইন থেকে আসা এক দম্পতি হাসপাতালের চিত্র দেখে চিনতে না পারায় বলেন ভূল জায়গায় আসি নাই তো? চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন হাসপাতালের প্রাজ্ঞণে বিয়ের আয়োজন বিষয়টি তিনি জানেন না।
বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।স্হানীয়রা ও রোগীর আত্মীয় স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সরকারি হাসপাতালে রোগীদের শারীরিক কস্ট ও চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে হাসপাতাল প্রাজ্ঞনে বিয়ের অনুস্টান করার সুযোগ দেয়াটা কতৃপক্ষ ভালো করেন নি।
Leave a Reply