
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাদ্দ কোথায় বাড়ানো হবে এটা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের হাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৪০০-৫৫০ কোটি টাকা থাকে প্রতিবছর নদীভাঙন এলাকার মানুষকে সুরক্ষা দিতে। আমি একটা হিসাব করালাম যে, পুরোনো বাঁধ মেরামত করতে হবে, এমন বাঁধ ঠিক করা ও স্থায়ী বাঁধ দেয়া- এগুলো দিতে আমাদের প্রয়োজন ১১০০ কোটি টাকা। কিন্ত ন্যায় বিচার হয়না সে ক্ষেত্রে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে আমরা এই পদ্মা সেতুটা করলাম। কিন্তু একই রকম গুরুত্বের সঙ্গে আমরা নদীভাঙা মানুষগুলোকে যে বাঁচাতে হবে এই কথাটা ভাবি না। আমরা বড়ও বড়ও মেগা প্রজেক্টের কথা ভাবি, ওইগুলো যতটা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে সিদ্ধান্তে পরিণত হয়। একই পরিমাণ টাকা দিয়ে বা তার অর্ধেক টাকা দিয়ে নদীভাঙন এলাকার মানুষকে রক্ষা করার কথা আমরা ভাবি না।
জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমাদেরকে ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রো লেভেলে সক্ষমতা বৃদ্ধির যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনি ম্যাক্রো লেভেলে উন্নয়ন দর্শণটার পরিবর্তন করার দরকার আছে। ম্যাক্রো লেভেলে মানে আমরা স্থায়ী বাঁধ দেব। কিন্তু স্থায়ী বাঁধ তো চার পাঁচ বছরের ব্যাপার। সেটা না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এই যে ছোট ছোট ভাঙনগুলো হচ্ছে, এগুলো করতে আমার ৫০০ কোটি টাকা বাড়াতে সমস্যা কোথায়? কত টাকা সরকারের দুর্নীতি করেই তো পাচার হয়ে যায়। কত টাকা অব্যবহিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের খবর/সিটিজিনিউজ/চাটগাঁরসংবাদ
Leave a Reply