আরফাত হোসেন: নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সরকারি যে কোন দপ্তরে কাজ করতে গেলে টাকা দিতে হয়। আপনার সন্তানকে নেতার পিছনে ঘুরা বন্ধ করেন। আমাদের দেশের নেতাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে পড়ালেখা করে, পরে তারা দেশে এসে আবার নেতৃত্ব দেয়। আমাদের দেশে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে।
ভোটের আগের রাতে ৫’শ বা ১ হাজার টাকায় ভোট বিক্রি করলে আগামী ৫ বছরের জন্য আমাদেরকে দায়ভার নিতে হবে। নেতার যে দূর্নীতি হবে, তাতে আপনি কিছু বলতে পারবেন না। নেতারা হচ্ছে আমাদের গোলাম, আপনি হচ্ছেন নেতার কর্তা। যদি নেতার কাছ থেকে টাকা চান তখন আপনি আর কর্তা থাকেন না। তাই আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
আমাদের আমানত ভোট বিক্রি করব না। দেশের প্রশাসক, আমলাদের আমাদের সেবা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা সেবা উৎপাদন করে তাদের পরিবারের জন্য কাজ করে। তাই কোন সরকারি চাকুরীজীবী সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয় না। নেতা নির্ভর না হয়ে নীতি নির্ভর সমাজ গঠন করতে হবে। জনগণের উপর নার্য্য দায়িত্ব পালনে মৃত্যু ছাড়া আমাদেরকে কেউ ফেরাতে পারবে না। নতুন রাজনৈতিক দল করতে হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
সংস্কার, আহত ও শহীদদের বিচার নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। এ সময় তারা চন্দনাইশের সন্তান কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাদা হাসান আলীকে চন্দনাইশের নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২৫ মে বিকালে ৪টি মিনি ট্রাক নিয়ে বহরটি দোহাজারী সদরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহবায়ক শাহজাদা হাসান আলী, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহবায়ক মো. তৌহিদ সাঈদ।