আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বিশাল ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন গৃহস্থালি ও বাজারের বর্জ্য সেখানে ফেলার ফলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে তীব্র দুর্গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পথচারী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দূষিত হচ্ছে পুরো এলাকার পরিবেশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন না থাকায় মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ময়লা এনে সড়কের পাশে ফেলে যাচ্ছে। দিন দিন স্তূপের পরিমাণ বাড়তে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও সড়কজুড়ে।
পথচারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “সড়কের পাশে এই ময়লার ভাগাড় অনেক দিন ধরেই আছে। কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় সবাই এখানে ময়লা ফেলে। এখন এত ময়লা জমেছে যে, দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে।”
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ শাকের বলেন, “সড়কের পাশে বিশাল ময়লার স্তূপ। দুর্গন্ধে অটোরিকশা চালানোই কষ্টকর। সারাদিন এই এলাকায় থাকতে হয়— এতে আমাদেরও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। ব্যবসায়ীরাও ভীষণ কষ্টে আছেন।”
স্থানীয়রা জানান, দুর্গন্ধে আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়ছে। মুখে রুমাল বা কাপড় চেপে স্কুলে যেতে হচ্ছে ছোট শিশুদের।
পরিবেশবিদদের মতে, এভাবে সড়কের পাশে বর্জ্য ফেলা চলতে থাকলে বায়ু, মাটি ও পানির মারাত্মক দূষণ ঘটবে, যা এলাকার মানুষের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন,“বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। দ্রুত পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এখানে ময়লা ফেলা না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে যত্রতত্র ময়লা ফেলার বিষয়ে। যারা ফেলছে, তারাই শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গৃহস্থালি বর্জ্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফেলতে হবে, আর বাজারের ময়লা হলে তা বাজার কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থাপনায় আনা হবে। তবে যত্রতত্র ময়লা ফেলার ব্যাপারে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।”
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত ময়লা অপসারণ করে এখানে একটি স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডাম্পিং স্টেশন) গড়ে তোলা হোক, যাতে আর কেউ সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে না পারে।
Leave a Reply