আবদুর রাজ্জাক, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার।। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিগত দেড় যুগের মধ্যে দিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। মাত্র এক মাস সময়ে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়েছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, নেতাকর্মীরাও রাজনৈতিক মামলা থেকে খালাস পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। বলা চলে বিএনপির এখন চলছে সুসময়। সুসময়ে দেখা মিলছে অনেক বিএনপি নেতার। এমন দেখা মিলছে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলাতেও। সুসময়ে এখন অনেককেই কৃতিত্বের ভাগিদার হতে আসছেন। কিন্তু দুঃসময়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির মাঠে কে ছিল? কার অবদানে গত ১৭ বছর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে এ সদর উপজেলা ও ঝিলংজা ইউনিয়নে-তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হলোঃ-দেশে গত ১৭ বছর বিরাজনীতিকরণের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমইউপি কারা নির্যাতিত জননেতা লিয়াকত আলী মেম্বার । দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। দলের জন্য তিনি একাধিক বার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ ও করেছেন এ নেতা। তার পরেও দমে যাননি। দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন -যাচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে সকলের পাশে থেকে লিয়াকত আলী মেম্বার সাহস যুগিয়েছেন নেতাকর্মীদের। কারাবন্দী নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের দায়িত্বসহ দলের নেতাকর্মীদের কারামুক্তির ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী মেম্বার। দুঃসময়ে দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা তাদের আশা দল তাকে তার কর্মের মুল্যায়ন করবেন।তবে নেতা কর্মীদের অভিযোগ বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন সদর উপজেলার অনেক নেতা কর্মী। অনেকে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে যোগশাজসে করে ব্যবসা-বানিজ্যে নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন, বিএনপির পরিচয় দিতে ভয় পেয়েছেন। ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা নিয়ে আদালত পাড়ায় ঘুরেছেন দিনের পর দিন খবর নেওয়ার কোনো নেতা ছিল না সদর উপজেলাতে ।বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনদিন কখনই মাঠে ছিল না বিএনপির অনেক নেতা। তারা এখন কোন মুখ নিয়ে বিএনপি নেতা দাবি করেন ? কিন্তু তারাই এখন বড় বিএনপি নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন দুঃসময়ে দলের হাল ধরা সদর উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটিকে।তবে কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির তৃনমুলের নেতাকর্মীরা জানান, হামলা-মামলা-নির্যাতন সহ্য করে বছরের পর বছর দল ও নেতাকর্মীদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বার । নানা বাঁধা বিপত্তি, আওয়ামীলীগের ককটেল-হাত বোমা হামলা, প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে লাখো মানুষের সমাগমে ঘটিয়েছেন বিভিন্ন সভা সমাবেশে।ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা কর্মিরা জানান, সহজ-সরল মাটির মানুষ আমাদের ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বার। ওনার নেতৃত্বে আমরা ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপিসহ উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কাজল ও রেজাউল জানান, ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বারের নেতৃত্বে হরতাল-অবরোধে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কসহ সদর উপজেলাব্যাপী বিএনপির পক্ষে সরকারবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। নানা প্রতিকুল পরিবেশ থাকা স্বত্ত্বেও করোনা-কালীন উপজেলাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন । এজন্য হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলা খেয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার কারাবারণ করেছেন তিনি। পুলিশের হাতে হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের জামিন করানো, পরিবারের পাঁশে দাঁড়ানোসহ সব দায়িত্ব পালন করে তিনি আজ ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির জনপ্রিয় জননেতায় পরিণত হয়েছেন।ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর হাসিনা ও তার দোসরদের কঠিন নির্যাতন উপেক্ষা করে লিয়াকত আলী মেম্বার তৃণমুল নেতা-কর্মী ও জনগণের পাঁশে দাঁড়িয়েছেন। তার নেতৃত্বে ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপি এক ও ঐক্যবদ্ধ।
এ বিষয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বার বলেন, দলের দুঃসময়ে প্রিয় নেতা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও লুৎফুর রহমান কাজলের সার্বিক সহযোগিতায় দলের পাঁশে সাধ্যমতো থাকার চেষ্টা করেছি। শেষ জীবন পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিচল থাকবো ইনশাআল্লাহ।