এইচ.এম.সাইফুদ্দীন:

ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী'র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি শনিবার বিকার ৩টায় ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী,এসময় তিনি বলেন গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা বজল আহমেদ সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য মুক্তিযোদ্ধারা এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের যোদ্ধা ছিলেন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণ করেই আমরা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মীরা দল পরিচালনা করি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন যে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে,তাতে বজল আহমেদ একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও গত ১৭ বছর তিনি স্বৈরাচারের সরকারের দোসর ছিলেন, তার সহধর্মিনী একজন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তার পুত্র যুবলীগের সন্ত্রাসী।

গত ৩০ ডিসেম্বর আমি যে বক্তব্য রেখেছিলাম তাতে আমি পাইন্দং ইউনিয়নের আমাদের দলের একজন সিনিয়র সদস্যকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম, তিনি একজন সিনিয়র সদস্য, একজন মুরুব্বী হয়েও ধর্মীয় লেবাসে এমন মিথ্যা বলতে পারেন না। তাতে আমি মুক্তিযোদ্ধার উদ্দেশ্যেও কোনো মন্তব্য করিনি। তাই আমার বিরুদ্ধে ওই সংবাদ সম্মেলন আমি দলের বিরুদ্ধে একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মনে করি। বর্তমানে আমরা উপজেলায় কাউন্সিল নিয়ে যে কার্যক্রম চালাচ্ছি তাতে ব্যাঘাত করার উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য দিয়েছে বলে আমি মনে করছি। তাই উনাদের মিথ্যা বক্তব্যকে প্রত্যাহার করার জন্য আমি অনুরোধ করছি অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমি এর যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দাঁতমারা বিএনপির সভাপতি মোঃ বোরহান উদ্দীন মেম্বার,নারায়ণহাট বিএনপির সদস্য সচিব পেয়ারুল ইসলাম,লেলাং বিএনপির সভাপতি মোঃ সরোয়ার মেম্বার,সুযাবিল বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদ,পাইন্দং বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক হাসান চৌধুরী দিপু, লেলাং যুবদলের আহবায়ক ডাঃ মোঃ হোসেন,দাঁতমারা যুবদলের সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন আকাশ,যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আরমান,ফটিকছড়ি ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার বেলাল উদ্দীন মুন্না,পাইন্দং বিএনপি নেতা আবুল কালাম,মোঃ সেলিম,ছাত্রদল নেতা শহিদুল আলম চৌধুরী।