স্টাফ রিপোর্টার: জিএনডব্লিউপি (গ্লোবাল নেটওর্য়াক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স)’র সহায়তায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চন্দনাইশ উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, নারীনেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত উপজেলা নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটি চন্দনাইশ উপজেলায় নারীর শান্তি ও নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে।
স্টিয়ারিং কমিটির নবম সভা ১৮ মে২০২৫ রোববার মৌলভীবাজারস্থ নবাবীখানা রেস্টুরেন্টে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন চন্দনাইশ স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়ক এবং উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম এরশাদুল করিম ও বিএনপিএস- চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফেরদৗস আহম্মদ। সভায় অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বিপিন চন্দ্র রায়। এতে আলোচনা অংশ নেন চন্দনাইশ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাসেল চৌধুরী, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আক্তার সানজিদা জাফর পপি, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি জাফর আহম্মদ, পল্পী প্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. নুরুল হক চৌধুরী, সৌরিতা জাগ্রত মহিলা সমিতির সভাপতি সঞ্চিতা বড়ুয়া, ওডেবের এরিয়া অফিসার মো. মাহমুদুল হক, বরকল ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার আজাদী, চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাসনারা বেগম ও সাবেক কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার।
নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক চন্দনাইশ স্টিয়ারিং কমিটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজ্যুলেশন এর ভিত্তিতে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপিএস মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
সভায় বিগত সভার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা, গত সভায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অর্জন, পরবর্তী করণীয়, জেন্ডার সমতা, উপজেলা পর্যায়ে নারী ও মেয়েদের উপর সংঘাত ও সহিংসতার প্রভাব এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গত মার্চ ২০২৫ হতে এই পর্যন্ত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যগণ নানা বাধা এবং জটিলতার সম্মুখীন হয়েও সাহসকে সহযোগী করে যেসকল কার্য সম্পাদন করার মধ্যদিয়ে নারী, শান্তি, ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয় পর্যায়ে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করছে- সে সব বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয় এবং আগামী ২৫-২৬মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় কর্মশালায় স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক উক্ত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং শিখন তুলে ধরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও সভায় প্রকল্প সম্পন্নের পরবর্তীতেও একতাবদ্ধভাবে স্টিয়ারিং কমিটির কাজ চলমান রাখার অঙ্গীকার করা হয়। পাশাপাশি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনার মূল বিষয় যথাক্রমে অংশগ্রহণ, প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন বিষয় সমূহ যথাযথভাবে নিশ্চিতের জন্য এ্যাডভোকেসী কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply