সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
চন্দনাইশ পৌরএলাকার দক্ষিণ গাছবাড়িয়ায় গত পাঁচ দিন ধরে (গত বুধবার থেকে) বিদ্যুৎ নেই। পালপাড়া, বুলারতালুক, মতির বাড়ি ও দেয়াংপাড়ায় না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চন্দনাইশ জোনাল অফিসের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বিদ্যুতের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অংশগ্রহণ করেন। এতে স্থানীয় বিএনপি, এলডিপি নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষও অংশ নেন। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আলহাজ্ব আইনুল কবির, সাধারণ সম্পাদক আকতার উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, চন্দনাইশ পৌরসভা গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, কমরেড ভুবন পাল, মো. হাসান, শাকিল, সংগীতা পাল, মাধুরী পাল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা হয়রানি ও বাড়তি টাকা আদায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে ডিজিএম এর অপসারণের দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জোনাল অফিসের ডিজিএমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি এবং গ্রাহক হয়রানির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
পল্লী বিদ্যতের ডিজিএম মো. ফখর উদ্দিন বলেন- দক্ষিণ গাছবাড়িয়ার কৃষ্ণমন্দির সড়কের জনৈক গ্রাহক মাস্টার পরিমল পাল তার ভবন দ্বিতীয় তলা করার সময় বিদ্যুৎ অফিসকে না জানিয়ে ঘরের উপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের একটি লাইন ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলেন। দূর্ঘটনার ফলে ওই লাইনের সাথে সংযুক্ত প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি বলেন- বৃহষ্পতিবার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে দেরী হয়েছে। ঠিকাদারের মাধ্যমে আজ (রবিবার) থেকেই কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। আজ বা দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হবে। গ্রাহক মাস্টার পরিমল পাল তাঁর ছাদের সাথে বিদ্যুতের তার ঢালাই করে দেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি স্থানান্তর করতে নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা দেয়ার কথা বলেছি। ইতোমধ্যে দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকার একটি স্টিমেট অনুমোদন পাওয়া গেছে।
বিকেলে দক্ষিণ গাছবাড়ীয়ায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- মাস্টার পরিমল পাল হঠাৎ স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর ঘরের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইন অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যুৎবিহীন এলাকাবাসী খুবই কষ্টে আছেন৷
তাঁদের দাবী- ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইনগুলো জনস্বার্থে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিজস্ব ব্যয়ে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
Leave a Reply