আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশের গাছবাড়ীয়ায় লায়ন রফিকের বাড়িতে আল্লামা শামীম সাঈদী


চন্দনাইশ প্রতিনিধি: সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজ ছেলে আল্লামা আলহাজ্ব শামীম সাঈদী চন্দনাইশের গাছবাড়িয়ায় মেগা গ্রুপ ও আল আমিন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শিল্পপতি লায়ন আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সদ্যপ্রয়াত পিতা আবদুল হাকিমের কবর জিয়ারত ও সুধীসমাজের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

২ মে শুক্রবার চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া বুলারতালুকস্থ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের পর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। শিল্পপতি লায়ন রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় তিনি প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নে সাম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী চক্ষু সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চন্দনাইশ পৌর জামায়াতের আমির কাজী কুতুব উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী আহসান সাদেক পারভেজ,, চন্দনাইশ সমিতি- চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ফ্রেন্ডস ফুডসের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আজম খান, নুরুল হুদা, ব্যবসায়ী আবু দাউদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা হেলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন শিল্পী মুহাম্মদ শামীম উদ্দিন প্রমুখ।
পরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথেও মতবিনিময় করেন। এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাওলানা মোজাহেরুল কাদের, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, সাংবাদিক মো. নুরুল আলম, সাংবাদিক এম এ মুবিন, সাংবাদিক এবিআর আরজু, সাংবাদিক মো. আরাফাত হোসেন প্রমুখ।

আল্লামা শামীম সাঈদী বলেন- চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড ময়দানে তাঁর পিতা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল চট্টগ্রামের মানুষকে আজীবন সাঈদীর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। তিনি তাফসীরুল কোরআনের মধ্যদিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ফেসিস্ট সরকার এক সময় মাহফিল বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, তাকে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধী মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে ঘটনা প্রমাণ করতে না পেরেও বিনা অপরাধে জেলে আটকিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন এখন সময় এসেছে বিগত সময়ে যে সকল অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতিবিদদের হয়রানি করা হয়েছে তার প্রতিকার নেয়ার। সবাইকে দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করে সংসদে দায়িত্ব নিয়ে ইসলাম কায়েম করার। দেশে ইসলামী শাসন কায়েম হলে ভিন্ন ধর্মের লোকেরাও সুখে শান্তিতে থাকবে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যা প্রত্যেকের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর