নিউজ ডেস্ক।। তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলায় চট্টগ্রামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৭ টাকা। রেকর্ড রুম থেকে ৫৪২টি খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ ৫৪ হাজার ২০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই মেলায় ডিজিটাল ভূমি সেবায় জনসাধারণের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।মেলার প্রথম দিন ছিল র্যালি ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য সূচনা। শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন। মেলায় ১২টি স্টলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরের ৬টি সার্কেল ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুম, এল.এ শাখা এবং জরিপ ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিভাগ সেবা প্রদান করে।মেলার উল্লেখযোগ্য অর্জনে রয়েছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৭ টাকা, রেকর্ড রুম থেকে ৫৪২টি খতিয়ান সরবরাহ, ফি বাবদ আদায়ে ৫৪,২০০ টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ১০ জনকে ক্ষতিপূরণ চেক হস্তান্তর, ১২০টি নামজারি আবেদন গ্রহণ এবং প্রায় ৭২০টি হোল্ডিং নম্বর প্রদান এবং অনলাইন খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ সরবরাহ ও সরাসরি পরামর্শ সেবা।সেবা গ্রহীতারা মেলায় তাৎক্ষণিক সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরাসরি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সেবা ও পরামর্শ পাওয়ার সুযোগে তাদের আগ্রহ বাড়ে।২৭ মে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা ভূমিকা রাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), চট্টগ্রাম মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী এবং সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
পুরস্কারপ্রাপ্ত দপ্তরসমূহ হলো >> নাগরিক সেবা ক্যাটাগরিতে ১ম স্থানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ২য় (যৌথভাবে) স্থানে রেকর্ড রুম শাখা ও বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩য় স্থানে আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিস।ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে ১ম স্থানে চাঁন্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিস, ২য় (যৌথভাবে) স্থানে কাট্টলী ও সদর সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩য় স্থানে পতেঙ্গা সার্কেল ভূমি অফিস।ভূমি মেলা-২০২৫ জনসাধারণের মাঝে ভূমি সেবার ডিজিটাল রূপান্তর, স্বচ্ছতা ও উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়েছে এবং এ উদ্যোগ ভূমি ব্যবস্থাপনার টেকসই উন্নয়নের পথে আরেকটি সফল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Leave a Reply