সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৬ নং গ্রুপ এর যৌথ ফিল্ড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুস সবুর খানের ৫৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ২৯ নভেম্বর শনিবার। এ উপলক্ষ্যে চন্দনাইশের বরমা গ্রামের খানবাড়িতে শহীদ আবদুস সবুর খানের বড় ভাই বরমা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এডভোকেট আবদুল গফুর খান ও ছোট্ট ভাই, অবসরপ্রাপ্ত জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবদুর রহীম খানের সার্বিক তত্বাবধানে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, শহীদের কবর জেয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ইত্যাদি।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের এদিনে চন্দনাইশের বশরতনগর মাদরাসায় রাজাকার বাহিনীর সম্মিলিত দুর্গে অপারেশন চালানো হয়। এসময় সম্মুখযুদ্ধে রাজাকারদের একটি বুলেট তাঁর কপালে বিদ্ধ হলে সেখানে ক্যাপ্টেন আব্দুস সবুর খান শহীদ হন। পরদিন ৩০ নভেম্বর সকালে রাজাকার বাহিনীর লোকজন শহীদ আব্দুস সবুরের লাশ শঙ্খ নদীতে ফেলে দেয়।
তিনদিন পর ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে শহীদ আব্দুস সবুরের লাশ ভাসমান অবস্থায় চর বরমা এলাকায় শঙ্খ নদীতে পাওয়া যায়। একইদিন বিকেলে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ আবদুস খানের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের পর তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।