নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা দলে দলে কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়া শুরু করেছেন।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদভিত্তিক কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
চাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদের ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাহিনী।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার আছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে ফিরে যেতে পারবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পেরে খুশি।
প্রার্থীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে— কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদের জন্য মোট প্রার্থী ৪১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৩৬৮ জন এবং নারী প্রার্থী ৪৭ জন। এতে সহ-সভাপতি পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২১ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, দফতর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ দফতর সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ২০ জন এবং পাঁচটি নির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৮৫ জন।