শেফাইল উদ্দিন, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম জোয়ার আর বৃষ্টির পানিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক উপসড়ক। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে ভারি বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন পানি বন্দী হয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত ৩/৪ দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। যার দরুন ৩ নং সতর্ক সংকেতের পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিতে উপর থেকে নামা বৃষ্টির পানি আর ঈদগাঁও নদীর গোমাতলী অংশের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় পোকখালী ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড গোমাতলী চরপাড়া গ্রামে পানি প্রবেশ শুরু হয়। উক্ত গ্রামের মসজিদ মাদ্রাসাসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দী হয়ে আছে। ইউপি সদস্য আমান উল্লাহ। জানান, এ ভাবে ক্রমাগত বৃষ্টি হতে থাকলে জনগণের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে।
অপর উপকূলীয় ইউনিয়ন ইসলামপুর ইউপির খানঘোনা ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর পাশ খালঘাট দিয়ে জোয়ার আর বৃষ্টির পানি সড়ক পেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। তবে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়াতে এখনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। পরবর্তীতে জোয়ার আর বৃষ্টির পানি একই সাথে বৃদ্ধি পেলে পুরো গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ।
পাশাপাশি ঈদগাঁও নদীর ঢলের পানিতে জালালাবাদ ইউপির ফরাজী পাড়া মঞ্জুর মৌলভীর দোকান এলাকায় থেকে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। অত্র এলাকায় ঘর বাড়ি ডুবে রাস্তা ঘাটে ভেঙে গেছে। এলাকার লোকজন চলাচল করত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জালালাবাদ চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি জানান, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ঈদগাঁও নদীর বাঁধ উপচিয়ে মনজুর মৌলভী দোকান এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা ঢলের পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দী হয়ে আছে। উদ্ধার পরবর্তী উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বিতরণ ও নিজ অর্থায়নে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্লাবিত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর রিপোর্ট প্রদান করবেন জানান।
Leave a Reply