শেফাইল উদ্দিন: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অল্প বৃষ্টিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পানি উঠে ও ময়লা আবর্জনায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা প্রার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ।
রবিবার ( ১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের জালালাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সকালের অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে এবং হাসপাতালের ভেতরে ডাক্তারের চেম্বারে ও পানি ঢুকে গেছে।অন্যদিকে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পানিতে ভেসে চলে আসছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চলাচলের রাস্তায় ও সম্মুখে। হাটু পানিতে চিকিৎসা সেবা প্রার্থী নারী, শিশুসহ বিভিন্ন রোগীরা ময়লা আবর্জনার পানি পার হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছে।
অনেক অসুস্থ রোগী গাড়ি দিয়ে স্বাস্থ্য যেতে পারছে না।
অপরিকল্পিত ড্র্যানেজ ব্যবস্থার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চিকিৎসা সেবা প্রার্থী মাধ্যম পোকখালীর অসুস্থ আমেনা আক্তার( ৫০),শাহেনা (৩৮)ও শিশু আবিরের সাথে কথা হলে জানান, প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে এরা জ্বর,সর্দি,কাশি ও ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয় । গাড়ি রেখে ময়লা আবর্জনার পানি পার হয়ে হাসপাতালে আসছে এবং ডাক্তারের চেম্বারে ও দাঁড়ানোর সুযোগ নেই সব জায়গায় পানি আর পানি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু সাদেকের সাথে কথা হলে জানান, অল্প বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আগামী বর্ষা মৌসুমে কি অবস্থা হয় জানিনা। এ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ,হেঁটে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনির সাথে কথা হলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সাথে কথা হলে ময়লা ,আবর্জনা এবং পানি জমে থাকার বিষয়টি তিনি অনেক বার দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন এবং ড্র্যানেজ ব্যবস্থার কাজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
করছেন বলে জানান।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহমদুল হাসানের মোবাইলে বার বার রিং দিয়ে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ হয়নি। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের দরিদ্র,অসহায় মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল এই জালালাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। জরুরী বা জটিল চিকিৎসা সেবা নিতে জেলা সদর বা চমেক হাসপাতালে চলে যেতে হয়। দরিদ্র রোগীদের টাকা খরচ করে এত দুরে চিকিৎসা সেবা নেয়া সম্ভব হয় না।
সচেতন মহল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান।
Leave a Reply