আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা রহেউল্লাহ হঠাৎ করেই বিদ্যুতের ‘ভূতুড়ে’ বিলে হতবাক হয়ে পড়েছেন।
এপ্রিল মাসে তার বিদ্যুৎ বিল ছিল ১,০১৩ টাকা, মে মাসে কমে দাঁড়ায় ৯৪১ টাকা। অথচ জুন মাসে বিল আসে ৫,৮৬৬ টাকা—যা স্বাভাবিক ব্যবহারের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
ভুক্তভোগী রহেউল্লাহ (হিসাব নম্বর: ১০২৪০৩৩৬৬১৬৭০) বলেন, “আমার বাসায় কোনো নতুন ইলেকট্রনিক যন্ত্র নেই। আগের মতোই ব্যবহার চলছে। এমন বিল দেখে আমি হতভম্ব।”
বিল সরবরাহকারী কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন, “এতো টাকার বিল হওয়ার কথা নয়। মনে হয় ভুল হয়েছে। আপনি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।”
এ বিষয়ে স্থানীয় মো. আরমান বলেন,পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের এই সমস্যা নতুন নয়। মিটার রিডাররা অনেক সময় বাড়িতে না গিয়েই অনুমান করে রিডিং বসিয়ে দেন। ফলে প্রকৃত রিডিং আর বিলের মধ্যে কোনো মিল থাকে না। গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষ শিক্ষিত না হওয়ায় তারা না বুঝেই বেশি বিল দিয়ে দিচ্ছেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমন বিলের ভুক্তভোগী এক রহেউল্লাহ নন—অনেক গ্রাহকই একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আগেও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (আনোয়ারা জোন)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।
ভুক্তভোগীসহ সচেতন নাগরিকরা অবিলম্বে সঠিক তদন্ত, বিল পুনর্মূল্যায়ন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।