নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে। এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তিনি।
আজ সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার সিএমএম আদালতের এজলাসে হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য হাজির করা হয়।
আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হলে হাজি সেলিমের হাতে পত্রিকার একটি পৃষ্ঠা দেখা যায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে এক পুলিশ সদস্য পত্রিকার পৃষ্ঠাটি তার হাত থেকে নিতে গেলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন হাজি সেলিম। পরে তার আইনজীবীর মধ্যস্থতায় শান্ত হন।
এরপর শুনানিতে শাহবাগ থানার এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র। পরে তাকে এজলাস থেকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নেওয়া হয়। এখানেও পুলিশের সঙ্গে ফের চিৎকার-চেঁচামেচি করেন হাজী সেলিম। পরে শান্ত হলে ধীরে ধীরে এজলাস থেকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নেওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জাহাজের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির একটি কাগজ কেটে আদালতে নিয়ে এসেছেন সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম।
পরে কাগজের অংশ তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথের কাছে পৌঁছে দেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মক্কেল কারাগারে ডিভিশন পেয়েছেন।
এজন্য তাকে পত্রিকা দেওয়া হয়। তিনি পত্রিকা পড়তে গিয়ে জাহাজের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। যেহেতু তার জাহাজ রয়েছে, সেটার খোঁজ খবর নিতেই তিনি পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি কেটে নিয়ে আসেন।