আজ ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী দালাল প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী


ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক:

অন্তর্বতী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখনও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়ার নাফনদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।তিনি বলেন,বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকার যেহেতু এখনও জান্তা, তাই দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।

মাদকের জন্য টেকনাফ খ্যাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদকের জন্য বাংলাদেশে মি. বদিও বিখ্যাত ছিল। কিন্তু মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদক রোধ করতে হবে সবার সহযোগিতা দরকার। কারণ এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফনদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। সব বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রম’কে ফাঁকি দিয়ে কিছু বাংলাদেশি অসাধু দালালচক্র মরিয়া হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘের প্রধান সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্বের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

তিনি দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফে পৌঁছান। পরে ২ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর