আজ ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদক সেবন করিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২


নিউজ ডেস্ক: প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদক সেবন করিয়ে এক ব্যক্তির সর্বস্ব লুঠে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা ও তার সহযোগীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

রোববার (১১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মো. রফিক। নিহত ব্যক্তির নাম রনজিৎ দত্ত নিলয় (৫৪)। তিনি একটি ঔষুধ কোম্পানির এমআর পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন— হত্যার মূলহোতা রুনা আক্তার প্রকাশ পিংকি (৩৫) ও তার সহযোগী কথিত স্বামী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজান (৫০)।

পূলিশ জানায়, গত শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে এক পথচারী ডবলমুরিং থানায় জানায় পাহাড়তলী বাজারের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পাশে সুলতান সাহেবের এক তলা বিল্ডিংয়ের ছাদে ১ জন অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে ডবলমুরিং থানার এসআই শহিদুল কবির সোহাগ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে রনজিৎ দত্ত নিলককে (৫৪) খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার (৪৯) পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, ডবলমুরিং থানা পুলিশ কর্তৃক এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদ । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের পরিবার ডবলমুরিং মডেল থানায় এসে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহটি তাদের বলে সনাক্ত করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে শনিবারই ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ক্লুলেস এই মার্ডার মামলার তদন্তে নামে পুলিশ, বিশ্বস্ত সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে মামলা রুজু হওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে আর হত্যার আনুমানিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার রাত ১১টার সময় হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রুনা আক্তার প্রকাশ পিংকি প্রকাশ বিলুকে (৩৫) নগরীর পাহাড়তলী এলাকার বাসা হতে গ্রেপ্তার করেন। পরে আসামি রুনা আক্তারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার তার সহযোগী আসামী কথিত স্বামী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজানকে(৫০) নগরীর দেওয়ানহাট এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেন।

আসামিদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ভিকটিম রনজিৎ এর সাথে সম্পর্কের জেরে গত ৯ মে বিকাল ৫টার সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে বাসায় ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মো. রফিক বলেন, ঘটনার দিন রনজিৎ দত্ত নিলক রুনা আক্তারের বাসায় যায়। সেখানে তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তার কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। উক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে রনজিৎ অচেতন হয়ে পড়লে আসামীদ্বয় তাকে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর