জুয়েল বড়ুয়া, মহেশখালী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ‘;উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক’ পদে স্থান পেয়েছে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান আবুল মনসুর আবেদীন। তিনি মরহুম জয়নাল আবেদীনের সুযোগ্য সন্তান।তার পদায়নে তার নিজ গ্রাম ইউনুছখালীতে চলছে অনাড়ম্বর আনন্দ।
আবুল মনসুর আবেদীন মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে তার ছাত্ররাজনীতির সূচনা হয়।কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাথে সামনের কাতারে জড়িত থেকে ছাত্র অধিকার নিয়ে লড়াই করেছে।তার পিতা দুঃসময়ের নির্যাতিত প্রবীণ রাজনীতিবিদ মরহুম জয়নাল আবেদীন আমৃত্যু কালারমারছড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সিনিয়র সদস্য ও কাউন্সিলর ছিলেন।কালারমারছড়া ইউনিয়নের বৃহত্তর আ.লীগ পরিবারের সন্তান মনসুরের একাধিক নিকট আত্মীয় আ.লীগ, যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের দায়িত্বে আছেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদায়নের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মনসুর বলেন, রাজনীতি একটি ধারাবাহিক এবং সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়া যেখানে আদর্শ আর পরিশ্রমের মেলবন্ধনের প্রতিফলন হয়। পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন আ.লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি এটা আমার প্রাপ্য ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দলীয় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার জন্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাব।
তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী সরকারি বিরোধী যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সেই অপশক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ। ছাত্রলীগের আদর্শ অব্যাহত রাখতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি পরামর্শমূলক বিষয়ে জানতে চাইলে মনসুর বলেন,রাজনীতি একটি আদর্শগত ভিত্তি, রাজনীতির বাইরেও দেশের সেবা করা যায়। জাতির জনকের আদর্শ ও দেশপ্রেমকে লালনের মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করা উচিত।ডিজিটাল যুগের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রকৃত মনুষ্যত্বের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
পরে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান,চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের প্রতি।
Leave a Reply