আজ ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও সরকার প্রধান:নিরাপত্তা জোরদার


শ.ম.গফুর >>> আজ (শুক্রবার) উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ব্যক্তির সফরকে ঘিরে কক্সবাজার সহ উখিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন,(১৪ মার্চ) শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাদা পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়োজিত রয়েছে এক হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।বৃহস্পতিবার চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৪ মার্চ সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিবকে নেওয়া হবে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে। এদিন বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো.মিজানুর রহমান বলেন,শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুতেরেস উখিয়া শরণার্থী শিবিরে পৌঁছাবেন। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা -ইউএনএইচসিআর, খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিরা তাকে শিবিরের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন।এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, যুব প্রতিনিধি ও নারীদের সঙ্গে ৩টি পৃথক বৈঠকে অংশ নেবেন।বিকেলে তিনি কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরের শেষ পর্বে প্রায় লাখো রোহিঙ্গার সাথে বসে গণ-ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।সফরকালে গুতেরেস রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, যুব প্রতিনিধি ও নারীদের সঙ্গে ৩টি পৃথক বৈঠকে অংশ নেবেন। ওইদিন বিকালে তিনি কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।বৈঠক শেষে রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।সফরটি রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তারা মনে করছেন, এটি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দাবি জানানোর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এ সফরে সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কর্তৃক রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অর্ধেক কমিয়ে আনার বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন রোহিঙ্গারা।উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন,জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে ইফতার করবেন,এটা কিছুই নয়।আসল বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানানো এবং দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা।স্থানীয়রাও আশায় আছেন এবারে যেহেতো জাতিসংঘের মহাসচিব আসছেন,প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চুড়ান্ত কিছু শুনবেন।যদি প্রত্যাবাসন আশার আলো দেখেন,হয়তো স্থানীয়রা সবচেয়ে বেশী খুশী হবেন।জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতরেস ২০১৮ সালে সর্বশেষ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এসেছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথম সফর।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর