আজ ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ খুলছে প্যাসিফিক জিন্সের ৮ কারখানা


নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষের জের ধরে পাঁচ দিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ৮টি কারখানা পুনরায় চালু হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মালিক, শ্রমিক ও পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এসব কারখানার ৩৫ হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই হাসিমুখে কাজে যোগ দেন।

তবে প্রতিদিনের মতো পুরো সিইপিজেড এলাকায় সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

তিনি বলেন, প্যাসিফিকের ওই আট কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক, চার হাজারের বেশি স্টাফ, কর্মকর্তা নির্বিঘ্নে কাজ শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রুটিনকাজ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, প্যাসিফিক জিনস বড় কারখানা হওয়ায় যদি এখানে অস্থিরতা দেখা দেয় তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিপমেন্ট, পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি, কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় জড়িত। আবার ৩৫ হাজার শ্রমিক যদি বেকার হন তারা কোথায় কাজ পাবেন? এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা থাকে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কারখানাগুলো যাতে দ্রুত সময়ে খোলার ব্যবস্থা করা হয়। আশাকরি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ১৬ অক্টোবর থেকে কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে নির্ধারিত তারিখ এবং সময়ে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে উৎপাদন কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

কারখানাগুলো হলো- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।

গত ১৪ অক্টোবর থেকে প্যাসিফিক গ্রুপের কয়েকটি ইউনিটের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরদিন তারা ইপিজেড এলাকায় বিক্ষোভ করেন। ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় রাতে গ্রুপের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী সব ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্যাসিফিক গ্রুপ সিইপিজেডের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী পোশাক উৎপাদনকারী শিল্পগোষ্ঠীগুলোর একটি। গ্রুপের আটটি ইউনিটে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর