আজ ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অস্থিরতা কাটছে না নিত্যপণ্যের বাজারে


অনলাইন ডেস্ক

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরও অস্থিরতা কাটছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও চিনির দাম কমাতে শুল্ক ছাড় দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। এক পণ্যের দাম কমে তো অন্যটির বাড়ে। কোনো উদ্যোগেই স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার। এতে দূর হচ্ছে না নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের হাহাকার।

রপ্তানি শুল্ক কমার পরও বাজারে পেঁয়াজ ও চিনির দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেলেও দাম না বাড়লেও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। খোলা সয়াবিনের দর লিটারে ৫ টাকা বেড়েছে।

মিল মালিকদের সিন্ডিকেটে বেড়েছে চালের দাম। মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা ও চিকন চাল এক টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজি ও কাঁচামরিচের দাম কমলেও এখনও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এক পণ্যের দাম কমে তো অন্যটির বাড়ে। সরকার কঠোর পদক্ষেপ এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারায় বাজারের এ অবস্থা।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন জানান, শুল্ক কমানো সুফল যেন মাঠ পর্যায়ে যায়, সেটার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে আনতে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর